রিয়াজ উদ্দিন, পেকুয়া:
পেকুয়া উপজেলার পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ৭ টি গ্রামে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নের দক্ষিন অংশে লামার ঘাট স্লুইচ গেইট, মেহেরনামা বাজারের উত্তর ও পূর্বপাশের্^ মেহেরনামা হাই স্কুল সংলগ্ন স্লুইচ গেইট, নুইন্না মুইন্না ব্রীজ, নন্দীরপাড়া ষ্টেশনের পূর্ব পাশের্^ ব্রীজে ও খালের মধ্যখানে অসাধু জেলেরা জাল বসিয়ে মাছ ধরার কারনে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বলে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও লোকজন এ অভিযোগ করেন। ওই অসাধু জেলেরা তাদের ইচ্ছেমত স্লুইচ গেইটের কপাট বন্ধ করে রাখে পানি আটকিয়ে রাখে মাছ ধরার জন্য। হরিণাফাঁড়ি এলাকার সাহাব উদ্দিন, ইয়াকুব নবী, শাহাদাত, আবদুল জলিল, মাহাবু জানান, বর্ষা (আমন) মৌসুমের ধান রোপন আর মাত্র ১৩ দিন বাকী। বর্তমানে ধান রোপন করার পুরো মৌসুম চলছে। এ সময়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়ার দক্ষিন অংশ, হরিণাফাঁড়ি, বাংলাপাড়ার দক্ষিন পাশের্^, নন্দীরপাড়া, বাজারপাড়া, সরকারীঘোনা, ছৈড়ভাঙ্গা, বলিরপাড়াসহ ৭ টি গ্রামে এখনও জলাবদ্ধতা বিরাজ করছে। তারা আরো জানায়, বিলের মধ্যে বর্তমানে ৪ ফুট পানি আছে। চাষাবাদ উপযোগী করার নিমিত্তে কমপক্ষে ৩ ফুট পানি কমাতে হবে। কৃষকরা সাংবাদিকদের জানায়, বর্তমানে ধান রোপন করার পুরো মৌসুম অতিক্রান্ত হলেও কৃষি যন্ত্রপাতি ট্রাক্টর দিয়ে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন, এলাকার এক ধরনের জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন খালের মধ্যে ও ব্রীজে, স্লুইচ গেইটে জাল বসানোর কারনে বিলের পানি নামতে পারছে না। তথ্য নিয়ে জানা যায়, লামার ঘাট স্লুইচ গেইটে শাহজাহান পটু, মেহেরনামা হাই স্কুল সংলগ্ন স্লুইচ গেইটে শাহ আলম, আনোয়ার হোসন, নন্দীরপাড়া ষ্টেশনের পূর্ব পাশের্^ ফিরোজ আহমদের পুত্র আতিকুল ইসলাম, নুইন্না মুইন্না ব্রীজে আকবর আহমদের পুত্র আমিন, সিকদারপাড়ার মহিউদ্দিন, টেকপাড়ার গিয়াস উদ্দিন গং মাছ ধরার জাল বসিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। তারা স্লুইচ গেইটে ও ব্রীজে, খালের মধ্যখানে পলিথিন ও বেড়া দিয়ে মাছ ধরার জাল বসিয়ে থাকে। ফলে জলাবদ্ধতার কারনে বর্ষা মৌসুমের চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। হরিণাফাঁড়ি এলাকার নুরুল কবির জানান, আমাদের চলাচলের রাস্তার উপর এখনও পানি নামছে না। চলাচলে এলাকাবাসীর দারুন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু ছালেক সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিলের মধ্যে পানি এখনও অধিক রয়েছে। যার কারনে চাষাবাদ হবে কিনা সন্দেহ পোষন করছি। এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুজ্জামান জানান, জলাবদ্ধতার ব্যাপারটি আমার জানা ছিল না। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব উল করিম জানান, তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
প্রকাশ:
২০১৮-০৮-০২ ০৪:২০:২৭
আপডেট:২০১৮-০৮-০২ ০৪:২০:২৭
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- মাতামুহুরী নদীতে ১২ বসতঘর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণে জেলা প্রশাসক
- নাইক্ষংছড়িতে টানা ৩দিন বৃষ্টির পানিতে ১৪ গ্রাম প্লাবিত
- চকরিয়ায় দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে নিন্মাঞ্চল প্লাবিত, ভয়াবহ বন্যার আশঙ্খা
- সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর হামলার প্রতিবাদে চকরিয়ায় মানববন্ধন
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহি বাস চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
- চকরিয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
- তামাকের ব্যবহার কমাতে শক্তিশালী কর পদক্ষেপ ও আইনের বিকল্প নেই
- আগস্টে ৪৬৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৭৬
- চাঁদাদাবী, ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে চেয়ারম্যান ইউনুছসহ ১২জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
- কক্সবাজার আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর যৌতুকের মামলা!
- কক্সবাজারে যোগ হচ্ছে রিজিওনাল ট্রেনিং সেন্টার :
পাঠকের মতামত: